Power Plant Engineering Book

           অধায়ঃ ১ বৈদ্যৎ উৎপাদন কেন্দ্র সম্পর্কে ধারণা



১। ভুমিকা.....................



                                                                          ভুমিকা

মানব জাতির ক্রম উন্নয়নের ইতিহাস লক্ষ করলে বিদ্যুৎশক্তির প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করা যায়।1 ঘন্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হলে উন্নয়নের চাকা মুহূর্তের মধ্যে থেমে যাবে। বন্ধ হয়ে যাবে সমস্ত পৃথিবীর শিল্প-কারখানার উৎপাদন প্রক্রিয়া।সুতরাং বিদ্যুৎ শক্তিকে আমরা উন্নয়নের ধারক-বাহক বলতে পারি।এই বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি বা প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়।

যেমনঃ

           ১/ পানি দ্বারা গ্যাস দ্বারা
           ২/পারমাণবিক শক্তি দ্বারা
           ৩/ ডিজেল দ্বারা ইত্যাদি প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।

                          পাওয়ার প্লান্টের ধারণা

পাওয়ার প্লান্ট বলতে প্রধানত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কে বোঝায়। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পাওয়ার প্লান্টের একটি মুখ্য উপাদানমাত্র।বাস্তবে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা পর্যন্ত যাবতীয় বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাপনা এবং সংশ্লিষ্ট যন্ত্রাংশ সমূহকে পাওয়ারপয়েন্ট এর অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

এই আলোকে পাওয়ার প্লান্টের সংখ্যা হতে পারেঃ

পাওয়ার প্ল্যান্ট এমন একটি যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাপনা যার মাধ্যমে প্রাকৃতিক শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর ও সরবরাহ কে বুঝায়।

 শক্তির বিভিন্ন উৎস

১/ জ্বালানি
২/ প্রবাহিত পানির স্রোতধারা
৩/ সমুদ্রের জোয়ারে ঢেউ
৪/ বায়ুপ্রবাহ 
৫/ সূর্য রশ্নি
৬/ ভূগর্ভস্থ তাপ
৭/ পারমাণবিক শক্তি
৮ থার্মোইলেকট্রিক পাওয়ার
৯ থারমোআয়োনিক কনভার্টার
১০/ জ্বালানির সেল

শক্তির বিভিন্ন উৎসের ব্যবহার

১)জ্বালানিঃ বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানি শক্তির ব্যবহার সর্বাধিক। জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনের ধাপগুলো নিচে ব্লক ডায়াগ্রাম এর সাহায্যে দেখানো হল-
                      জ্বালানি → তাপশক্তি → যান্ত্রিক শক্তি → বিদ্যুৎ শক্তি

জ্বালানি তিন প্রকার যথাঃ
⏩কঠিন জ্বালানি
⏩তরল জ্বালানি
⏩বায়বীয় জ্বালানি

Post a Comment

0 Comments